দয়া বলে,কে গো তুমি? মুখে নাই কথা, অশ্রুভরা আঁখি বলে, আমি কৃতজ্ঞতা।

মানুষের মধ্যে নানা শুভ অশুভ প্রবণতা আছে। তা কখন ভালো আবার কখন মন্দ হয়। দেখা যায় শুভ প্রবণতা বা ধর্মগুলো সবসময়ই সমাজের কাছে মঙ্গলজনক হয় এবং অশুভ প্রবণতা গুলি অমঙ্গলজনক হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।

Advertisements

দয়া ও কৃতজ্ঞতা দুটি অতি মঙ্গলজনক প্রবৃত্তি,যা সকল মানুষের কাম্য। সমাজের কল্যাণ সাধনে যারা যুগে যুগে ব্রতী হয়েছেন তারা সব সময় দয়া ও কৃতজ্ঞতার সাহায্য নিয়ে কাজ করেছেন। দয়া ও অকৃতজ্ঞতার মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দীতা নেই, এরা একে অপরের পরিপূরক ।দয়া ও কৃতজ্ঞতা পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কযুক্ত। দয়া থেকে কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা থেকেই দয়ার জন্ম। চিরকাল থেকেই মুষ্টিমেয় মানুষ দয়া ও কৃতজ্ঞতার জয়গান করে আসছে ।
অসুস্থ ,দুঃখ, দরিদ্র মানুষকেই দয়া করা একান্ত কাম্য, আর্ত ব্যতীত ও নিরন্নের জন্য হাহাকার শুনে স্থির থাকা যায় না তাদের দয়া প্রদর্শন করতেই হয় । কিন্তু দয়া গ্রহণ করার পর একদল স্বার্থপর ,আত্মকেন্দ্রিক মানুষের দল দয়ার সাহায্যের কথা মনে রাখে না ।তারা অকৃতজ্ঞের দল। চরম কৃতজ্ঞ হওয়ার বদলে তারা চরম অকৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে ।

অকৃতজ্ঞতা এতটাই বেড়ে যায় যে ,তার কাছে দয়া বা কৃতজ্ঞতা লাভ তার ই অনিষ্ট করার চেষ্টা । এবং এমন পরিস্থিতি এসে দাঁড়ায় দয়া বা কৃতজ্ঞতা কেউ কাউকে আর সহজে দান করে না। করতে চায় না । কারণ অকৃতজ্ঞতা এই ভয়াবহ রূপ প্রদর্শন করে আমরা কখনো কখনো দয়াকে জীবন থেকে নির্বাসন দিতে চাই। কিন্তু যে মহান সে দয়া ও কৃতজ্ঞতাকে কখনো ত্যাগ করে না।
কিন্তু দয়ার দানে ধন্য হয়ে মুষ্টিমেয় মানুষ মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করে দাতার গৌরব। যে মহান সে তার প্রাপ্য ঠিক একদিন না একদিন পায়। মহতের স্বভাব এই । দয়া ও কৃতজ্ঞতা যে দান করে সে মহৎ , যা একদিন না একদিন বিশ্বসংসারে প্রমাণিত হয়।

Advertisements

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Related Posts

Scroll to Top