যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা / যুদ্ধ মানে আমার প্রতি, তোমার অবহেলা।

পৃথিবীর আদিকাল থেকে ধন-সম্পদে দুর্বলের উপর নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য শুরু হয়েছে, যুদ্ধ নামক এক বিভীষিকার । বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ ঘটেছে এই পৃথিবীতে। কিন্তু যুদ্ধ ব্যবসায়ীরা মনে রাখেনি যুদ্ধ মানে একে অপরের সঙ্গে শত্রু শত্রু খেলা যা তাদের দুপক্ষের ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। এই খেলার ফলশ্রুতি হল একজনের প্রতি অন্যজনের অবহেলা মাত্র, যা তাদের মধ্যে দূরত্বকেই বাড়ায়।

Advertisements

হিংসা-দ্বেষ , সীমাহীন স্বার্থপরতা,লোভ, হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতাই জন্ম দেয় যুদ্ধের। এই যুদ্ধ লড়াই সৃষ্টি করে এক ভয়াবহ পরিবেশের। আর যার ফলে মানুষ মানুষের শত্রু হয়ে যায়। মানুষে মানুষে বাড়তে থাকে দূরত্ব। যুদ্ধের যাঁতাকলে পড়ে মানুষ নিজের স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে নিষ্ঠুর পিশাচের রূপান্তরিত হয়। যার ফলে শুরু হয় একে অপরের প্রতি পৈশাচিকতা। সেখানে মায়া মমতার মত আবেগপ্রবণতা কোন স্থান নেই ।যুদ্ধ যুদ্ধ এই খেলায় তাই সৃষ্টি হয় নতুন নতুন শত্রুর । দূরত্ব বাড়তে বাড়তে মানুষ একে অপরের থেকে অনেক দূরে সরে যায় । সৃষ্টি হয় এমন এক পৃথিবীর ,যা শুধুমাত্র অবিশ্বাস আর অবহেলায় প্রাচীর দিয়ে তৈরি ।সৃষ্টি হয় এমন এক পৃথিবীর যা শিশুর বসবাসযোগ্য নয়।

পারস্পরিক মিত্রতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ ই জন্ম দেয় প্রকৃত শান্তির ।তাই প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক মানুষের বিদ্বেষ, হিংসা ,স্বার্থপরতা কে ভুলে প্রেম-প্রীতির পূণ্য বন্ধনে পরস্পর মিলিত হওয়া প্রয়োজন । তার ফলেই সুস্থ সুন্দর ভাতৃত্ববোধ এক পূর্ণ পৃথিবীর সৃষ্টি হবে ,যা শিশুর বসবাসযোগ্য এবং সকলের কাম্য ও বটে ।।

Advertisements

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Related Posts

Scroll to Top