যে পূজার বেদী রক্তে গিয়েছে ভেসে, ভাঙো ভাঙো আজি ভাঙো তারে নিঃশেষে/ ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্র হানো, এ অভাগা দেশে জ্ঞানের আলোক আনো ।

মানুষের জীবনের অন্যান্য নিত্যকর্ম গুলির মধ্যে অন্যতম কর্ম হলো পূজা অর্চনা। ভগবানের উদ্দেশ্যে নিবেদিত পূজা কালক্রমে পর্যভূষিত হয়েছে ধর্ম নামক কারাগারে। ধর্মের অত্যাচারে বহু মানুষ হয়েছে বলি ,তার ফলে পূজার বেদী ভেসে গেছে রক্তে। তাই যে পূজার বেদী রক্তে ভেসে গেছে সেই বেদি অচিরেই ভেঙে ফেলা উচিত। এই ধর্মকারার প্রাচীরে বজ্রসহ আঘাত হানার জন্য শিক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজন। শিক্ষাই এই প্রাচীরের বজ্রাঘাত হানতে সক্ষম ।

Advertisements

সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানুষ বিভিন্ন প্রাকৃতিক জিনিস কে ভয় পেয়ে এসেছে । আর এই ভয় থেকেই জন্ম হয়েছে দেব পূজা অর্চনা ও ধর্মের। কালক্রমে ধর্ম ও পূজা অর্চনা পদ্ধতির প্রভেদের ফলে মানুষে মানুষে ধর্মকে কেন্দ্র করে নানা ভেদাভেদ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মানুষ ক্রমশ ধর্মের প্রাচীরে বাদী হয়ে যাচ্ছে। ধর্মের নাগপাশে আকৃষ্ট হয়ে মানুষ হয়ে পড়েছে ধর্মান্ধ।

মানুষের কিন্তু মনে রাখা উচিত যে ধর্ম হল কেবল মাত্র বাহ্যিক আচরণ মাত্র। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হল মানবধর্ম। এর উধ্বে আর কোন ধর্মই নেই । তাদের দেহের যে রক্ত বইছে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে তার রং লাল । তারা একই পৃথিবীর আলো-বাতাস খাদ্য গ্রহণ করেও একই পৃথিবীর স্তনে লালিত ।তাই তাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই ।
কিন্তু ধর্মকারার প্রাচীরে থেকে মুক্তি পেতে গেলে শিক্ষা সর্বাগ্রে প্রয়োজন। শিক্ষার বাতি ছাড়া ধর্মান্ধতা অন্ধকার দূর করা সম্ভব নয়। শিক্ষাই ধর্মান্ধতার অন্ধকার দূর করে ,আচার সর্বস্বতাকে দূরে সরিয়ে মানুষে মানুষে মিলন ও বন্ধুত্বের পথকে সুগম করবে । তাই শিক্ষার আলো জ্বালানো সর্বাগ্রে সকলের কর্তব্য।

Advertisements

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Related Posts

Scroll to Top