শোনো মর্ত্যের জীব! অন্যেরে যত করিবে পীড়ন, নিজে হবে তত ক্লীব।

মানব সমাজ ঈশ্বরের করুণার দান ,প্রত্যেক মানুষকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ঈশ্বর। কিন্তু যে দিন থেকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির সৃষ্টি হয়েছে সেদিন থেকে মানুষে মানুষে দূরত্ব ও বিভেদ বেড়েই চলেছে।

Advertisements

ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায় কত মানুষের নীপীড়িত বেদনাময় রক্তঝরা কাহিনী। অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ একদিন তার হাত থেকে খসে পড়ে যখন ভীম রণ রবে অত্যাচারীতের ঘটে বৈপ্লবিক অভ্যুত্থান। বিপ্লবের অশনিপাতে অত্যাচারীর পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু অত্যাচারের অবসান হয়নি ।বারেবারেই পর্যুদস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ ।যতদিন গেছে ততবেশি করে অত্যাচারী পদতলে পিষ্ট হয়েছে তারা। আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে মাথা তুলে দাঁড়াবার জন্য । অত্যাচারী নীতিগতভাবে দুর্বল , সে “ভীরু তোমার চেয়ে” । জীবনের সত্য হচ্ছে পীড়নের বদলে পীড়ন। অত্যাচারীকে দম্ভকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিরোধ করলেই তার অত্যাচারের অবসান হতে বাধ্য । কারণ নৈতিক শক্তিহীন হতে বাধ্য। কারণ নৈতিক শক্তিহীন গর্ভোদ্ধত অত্যাচারের দম্ভ শূন্য গর্ভমাত্র। শক্তিমানের শক্তি দম্ভ ও অপরাজেয় নয়। একদিন না একদিন তার পতন অবশ্যম্ভাবী। এই নিয়মে অতীতে মিশর ,রোম প্রভৃতি সাম্রাজ্যের অবসান ঘটেছে। বিশ্বজয়ী চেঙ্গিস খাঁ, নেপোলিয়ন, হিটলার, কেউ-ই জনগণের রোষবহ্নি থেকে মুক্তি পান নি। সুতরাং অত্যাচারীর অত্যাচার যতই ত্রাসের হোক, তাতে ভয় করার কিছু নেই ।মানুষ অভয় মন্ত্র দীক্ষা পেলে নির্মম শক্তিদান রত অত্যাচারীর হাত ও শিথিল হয়ে পড়বে। মানব জাতির ইতিহাস এই শিক্ষাই দেয়।

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

Related Posts

Scroll to Top